এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন ভক্ত জানান, গাজীপুরে টঙ্গীর বিসিক নগরীতে বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার বিশাল ভবনের অধিকাংশই ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ওই ধ্বংসস্তূপে প্রায় এক মাস উদ্ধার অভিযান চলে। ওই ঘটনায় ৩৯ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশের সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগ কয়েকটি ধাপে ডিএনএ পরীক্ষা করে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে দুর্ঘটনার প্রায় ৫ মাস পর মামুন নামের এক শ্রমিকের মরদেহ শুক্রবার দুপুরে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহত ৩৯ জনের মধ্যে ৩৬জনের লাশ শনাক্ত হলেও অন্য তিন লাশের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।’ উল্লেখ্য, ট্যাম্পাকো কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে এবং আহত প্রত্যেক শ্রমিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ১৬ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, কারখানায় বিস্ফোরণষ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হেসেনকে প্রধান আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় এ পর্যন্ত দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মকবুল হোসেনের স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার বাদী হয়ে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন।
/এমএনএইচ/