এসপি বাবুলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার বর্নির

সংবাদ সম্মেলনে বাবা বশির আহম্মেদের সঙ্গে বনানী বিনতে বশির বর্নিসাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক ও স্বামী এসআই আকরাম হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেন বনানী বিনতে বশির বর্নি। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। এখানে তার বাবা বশির আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

বর্নির দাবি— তার ননদ জান্নাত আরা রিনি দু’দিন আগে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে আকরামকে হত্যার অভিযোগ তোলেন।

সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বর্নি বলেন, ‘রিনির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২০১৫ সালে ১৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু সেই সময় আমার ফুফাতো ভাই সাদিকুল হক মুনের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়। পুলিশের তদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্টে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন আবার বাবুল আক্তারের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমার মেয়ের নামে ঢাকায় স্বামীর রেখে যাওয়া ফ্ল্যাট ও শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য রিনি এসব করছেন।’

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্নির ননদ ঝিনাইদহ শহরের বাসিন্দা জান্নাত আরা রিনি। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিজের অপকর্ম ঢাকতে বর্নি তাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির মালিক স্ত্রী-সন্তানরা হবেন, এটাই নিয়ম।’

এদিকে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বাবুল আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক ও তার মাগুরার বাড়িতে বসবাসের অভিযোগের বিষয়ে বর্নি বলেন, ‘বাবুল আক্তারকে আমি চিনি না। কোনোদিন দেখিনি। সম্পর্ক আর বাড়িতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তবে আইনি সহায়তার জন্য বাবুল আক্তারের আইনজীবী লাবুর সঙ্গে আমার পরিচয় আছে।’

এসআই আকরাম নিহত ও বাবুলের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনায় মিতু হত্যার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা নিয়ে জান্নাত আরা রিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বর্নি বলেন, ‘আবারও বলছি, আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, এটা তদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। তবে সব বিষয়ে সঠিক তদন্ত হলে আমার আপত্তি নেই।’

তবে রিনির অভিযোগ, তাদের পাঁচ বোনের একমাত্র ভাই এসআই আকরাম নিহতের পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি মৃতদেহ দাফন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ভাইয়ের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পরে কবর থেকে তার মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু তখন বর্নির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এসপি বাবুল আক্তার প্রভাব বিস্তার করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্ত উল্টে দেন।’

/জেএইচ/