বিএনপি প্রার্থীর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সর্বত্র সাঁটানো ধানের শীষের পোস্টার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়। এর পরদিন যুবদল ও ছাত্রদলের ১০-১২ জন কর্মী টরকী বাসস্ট্যান্ডে পোস্টার লাগাতে গেলে আওয়ামী লীগের ১৫-২০ নেতাকর্মী তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় যুবদল কর্মী মিলন সরদার ও বোরহানকে মারধর করেন তারা। একইসঙ্গে তাদের হুমকি দেওয়া হয় যেন তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ধানের শীষের প্রচারণার জন্য কোনও রিক্সা, অটোরিক্সা, মাহেন্দ্র ও ভ্যান ভাড়া না দেওয়ার জন্য এসব যানবাহনের মালিকদের চাপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি’র প্রচরণায় হামলা ও কর্মীদের মারধর করে তাদের এলাকা ত্যাগের জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।
এমনকি তিনি নিজেও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগে জানান বিএনপি প্রার্থী মিলন।
বিএনপি প্রার্থীর আনীত অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে দাবি করে গৌরনদী উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম জয়নাল আবেদীন মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গৌরনদীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনিই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।’
উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মার্চ। এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এস এম মনজুর হোসেন মিলন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী।
আরও পড়ুন-