সাতক্ষীরার ইটভাটায় ‘পুড়িয়ে মারা’ কিশোর শ্রীপুরে জীবিত উদ্ধার!

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তারানিপুর গ্রাম থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কিশোর ইসরাফিলকে অপহরণ করে ভারতে পাচার, কিংবা জ্বলন্ত ইটভাটার মধ্যে ফেলে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে ১৪ ফেব্রুয়ারি ইসরাফিলের পিতা আব্দুল মজিদ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ সেই ইসরাফিলকে মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে ইসরাফিলকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে মরিয়ম আক্তার সাথী (৪০) ও তার কন্যা মর্জিনাকে (২৬) আটক করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।

মামলার বাদী আব্দুল মজিদ এজাহারে উল্লেখ করেন, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইসরাফিলকে অপহরণ করে ভারতে পাচার, কিংবা জ্বলন্ত ইট ভাটার মধ্যে ফেলে হত্যা করেছে।

মামলার বাদী  জানান, তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।পৈইখালি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ও তার বড় ভাই শেখ আব্দুর রহমানসহ আট ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মরিয়মের বাসা থেকে ভিকটিম ইসরাফিলকে উদ্ধার করা হয়। আটক মরিয়ম  মামলার  আব্দুল মজিদের বোন, আর মর্জিনা মরিয়মের মেয়ে।   

/এপিএইচ/