বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি দোকানের বিকাশ নম্বরে এক ভক্তের পাঠানো টাকা নিতে এলে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।
কোদালকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় ডাডিয়ারচর বাজারে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিতেন এবং নিজ বাগানের আম বিক্রি করতেন। এরপর কুড়িগ্রামের বাইরে কোনও মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে আমরা শুনেছি। তবে তিনি জেএমবি সঙ্গে জড়িত এমন কোনও তথ্য আমরা আগে কখনও শুনিনি। এলাকায় তিনি ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।’
অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাডিয়ারচর গ্রামের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘এলাকায় সজ্জন হিসেবে পরিচিত আবুল কাশেম নদী ভাঙ্গনের কারণে কোদালকাটি ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন। দুই এলাকাতেই তিনি অত্যন্ত ভালো ব্যাক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম মৃত শওকত আলী প্রামাণিক। গ্রেফতার হওয়ার আগে তার সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক খবর আমরা পায়নি।’
এদিকে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেও তাকে কখনও এলাকায় পাইনি।’
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও মো. শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম নামে কোনও জেএমবি সদস্যের তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই।’
অভিযোগ আছে আবুল কামেশ নব্য জেএমবির বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জিহাদ, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সদস্যদের হিংস্র করে তুলতেন এই ‘বড় হুজুর’। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ বেশ কয়েকটি নাশকতা চালানোর অনুমোদনও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
/এসএনএইচ/