ধর্ষণ চেষ্টা: মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদীর পরিবার

গাইবান্ধা জেলাগাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে এক গৃহবধূ ও তার পরিবার বিপাকে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের হুমকির মুখে গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা কলেজপাড়ার মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী রুজিনা আক্তার ছেলে সন্তান নিয়ে শশুর বাড়িতে বসবাস করেন। জীবিকার তাগিদে স্বামী মোসলেম উদ্দিন ঢাকায় চাকরি করেন। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মৃত গফুর আলীর ছেলে ও দুই সন্তানের জনক মশিউর রহমান রুজিনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১৭ এপ্রিল রাতে মোসলেম কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে রুজিনার মুখ চেপে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এতে রুজিনার আত্মচিৎকারে শশুর-শাশুড়িসহ বাড়ির অন্য লোকজন এসে ধারালো অস্ত্রসহ মোসলেমকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় পরেরদিন রুজিনা বেগম বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

গত ১৮ এপ্রিল সকালে রুজিনার দেবর রনজু আহম্মেদ বাড়ি থেকে বের হয়ে নলডাঙ্গায় আসছিলেন। এসময় আসামি মোসলেমের ভাই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, হারুন, রফিকুলসহ ১৫/১৬ জন তাকে পথরোধ করে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন রনজুকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে রনজু মিয়া সাদুল্যাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এছাড়া আসামি মোসলেম জেলহাজতে থাকায় তার পরিবারের লোকজন বাদী রুজিনাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে মামলার বাদী তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদীর দেবর ও শশুর-শাশুড়ী।

মামলার বাদী রুজিনা বেগম বলেন, ‘মামলা করার পর আসামি পরিবার নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত মূল আসামি মোসলেম কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া রুজিনার দেবর রনজুকে মারধরের অভিযোগসহ হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/এসএনএইচ/