হাওর এলাকা পরিদর্শনে রবিবার সুনামগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের শাল্লায় আসছেন রবিবার (৩০ এপ্রিল)। সফরে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে হাওর এলাকা শাল্লাকে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলার পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শাল্লা সফর উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাল্লা সফরে হাওর এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পর প্রধানমন্ত্রী উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে হেলিকপ্টারে শাল্লায় পৌঁছাবেন। এরই মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসে পৌঁছেছেন শাল্লায়। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে আওয়ামী লীগ নেতারা কয়েক দফায় প্রস্তুতি সভাও করেছেন।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলাটি জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে পায়ে হাঁটা ছাড়া যাওয়ার উপায় নেই সড়ক যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই উপজেলায়। জেলা শহর থেকে শাল্লা যেতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও মৎস্যজীবী। বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই এখানে। নেই কোনও শিল্প কারখানা।
দুর্গম শাল্লায় আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ২২ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষ। উপজেলার ছায়া, ভান্ডা, বড়বন, ভেড়ামোহনাসহ চেপটি হাওর, ধারাইন নদী ও কুশিয়ারা নদী বেষ্টিত শাল্লা উপজেলার বাহারা, হাবিবপুর, আটগাঁও ও শাল্লা ইউনিয়নে ২৭ হাজার পরিবারের বসবাস। ফসলহানির পর থেকে শাল্লাবাসীরা চরম অভাবে ভুগছেন। দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। ত্রাণের জন্য শাল্লা উপজেলা সদরে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারও মানুষ।
শাল্লাবাসীরা আশা করছেন, সফরে প্রধানমন্ত্রী তাদের মৌলিক দাবিগুলো পূরণ করবেন। এছাড়া জেলা সদরের সঙ্গে শাল্লার সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন-

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

বিচার বিভাগে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

/টিআর/