হাসপাতালের নির্মাণ কাজ নিয়ে সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষে ২ ছাত্রলীগ নেতা আহত

নড়াইলে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক টিটোনড়াইল শহরের বাঁশভিটা এলাকায় নির্মাণাধীন শুভ্রা মূখার্জী মেমোরিয়াল হাসপাতালের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় আরটিভির জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল (৪৫) শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন।
বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জেলা সদরের নড়াইল-যশোর সড়কের উত্তর দিকে বাঁশভিটা নামক স্থানে শুভ্রা মূখার্জীর নামে একটি হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। মাস দেড়েক আগে শুরু হয় এই কাজ।
স্থানীয় পর্যায়ে নির্মাণ কাজের তদারককারী মহিষখোলা এলাকার খন্দকার এজাজুল হাসান বাবু ও ভওয়াখালী এলাকার মশিয়ার রহমান জানান, হাসপাতালটির ভবন নির্মাণের জন্য বালি দিয়ে জমি ভরাট কাজ শুরু হলে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবি করতে থাকে। এ কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই গ্রুপের সদস্যরা চাঁদা আনতে গেলে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত লোকজনের সঙ্গে সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি জানার জন্য ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান রোজ (২৫) ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান পলাশ (২৪) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংষর্ঘের খবর সংগ্রহ করতে গেলে আরটিভির জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের (৪৫) ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার ক্যামেরা ও মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মুকুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুভ্রা মূখার্জী মোমোরিয়াল হাসপাতালের নামে কেনা জমি ও জমির মূল্য নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করতে ছাত্রলীগ সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের কাছে যান। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগের দু’নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে।’
সংঘর্ষের পর নড়াইল পুলিশের এএসপি জাহিদুল ইসলাম, মেহেদী হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় লিয়াকত আলী টিটো (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক টিটো সদর উপজেলার ফেদী গ্রামের সৈয়দ আক্কাস আলীর ছেলে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ সংঘর্ষের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন-

গোপালগঞ্জে আগুনে পুড়ে গেছে ২০টি দোকান

টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ী থাকবে না: আইজিপি

/টিআর/