এএসপি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকেই নামাগেন্ডা এলাকার সাকিব নামে একজনের ছয় তলা একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশের বিশেষ দল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাড়িতে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে।’
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নামাগেন্ডা এলাকার আনোয়ারের পাঁচ তলা একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এর পরপরই পুলিশের দলটি ওই বাড়ি থেকে দুইশ গজ দূরে সাকিবের বাড়িতে অভিযান শুরু করে। এসময় তারা সাকিবের ছয় তলা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায়। বাড়িটির দু’টি ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে ধারণা করছেন পুলিশের সদস্যরা। এছাড়াও বাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল পাঁচজন পুরুষ ও তিন জন নারীসহ অন্তত আট জন নব্য জেএমবির একটি দল এই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছিল। তবে সবাই গা ঢাকা দিয়ে আশ-পাশেই অবস্থান করছে।
অভিযান পরিচালনাকারী একজন কর্মকর্তা জানান, জেএমবি সদস্যদের মধ্যে একজনের নাম কামাল ওরফে ট্যাগড়া কামাল। তার বাড়ি সিলেটে। বাকি সদস্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে একজন পেশায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। জঙ্গিরা প্রথমদিকে গেন্ডা এলাকার আবদুল হালিমের বাড়ির আটটি রুম ভাড়া নিয়ে কসমেটিক্স কারখানা দিয়েছিল। পরে ওই বাড়ি বদল করে দুই মাস আগে একই এলাকার সাকিব নামে আরেকজনের বাড়ি ভাড়া নেয়। কসমেটিক্স কারখানার দুই কর্মচারী থাকতেন সাকিবের বাড়ির পাশেই জরিনা নামে আরেকজনের বাসায়। কর্মচারী দুইজনের মধ্যে একজনের নাম নাসিম বলে জানা গেছে। সিটিটিসির অভিযানের আগেই তারা সবাই পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন-
‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে এক নারী ও দুই শিশু উদ্ধার
পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সাভারে কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও, সকালে অভিযান
/এসএমএন/টিআর/