শনিবার (১০ জুন) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মাইনী নদী থেকে ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের পর বিকাল ৫টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার জানান, মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্যই ১ জুন নয়নকে কৌশলে লংগদু থেকে নিয়ে যাওয়া হয় খাগড়াছড়ি সদরের চারমাইল এলাকায়। সেখানেই নয়নকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তিন তরুণ। এরপর নয়নের মোটরসাইকেলটি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় তারা।
১ জুন নয়নের মরদেহ উদ্ধারের পর ওই দিনই তার ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর নয় দিন পর শনিবার পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো—দিঘীনালা উপজেলার হাচিনসনপুর এলাকার রমেল চাকমা ও রাঙামাটির লংগদু উপজেলার জুনেল চাকমা।
বিকালের ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান বলেন, ‘রমেল ও জুনেল চাকমার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়েই আমরা মাইনী নদীতে অভিযান চালিয়েছি। মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ রমেল ও জুনেলকে গ্রেফতার করতেও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ডুবুরী দল, পিবিআই, গোয়েন্দা সংস্থা, স্থানীয় সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছি আমরা।’ এসময় নয়ন হত্যার ১০ দিনের মধ্যেই দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতারসহ নয়নের মোটরসাইকেল উদ্ধারকে পুলিশের সাফল্য হিসেবেও দাবি করেন জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, লংগদু উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন নিহত নুরুল ইসলাম নয়ন। লংগদু উপজেলা সদরে তার বাড়ি। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছিলেন। ১ জুন দুই ব্যক্তি নয়নের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। এরপর থেকেই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে ওই দিনই খাগড়াছড়ির সদরের চার মাইল এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
/টিআর/