ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার কনস্টেবল

যশোর

যশোর সদর উপজেলার এক মোবাইলফোন ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। শনিবার (১৭ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার সাতমাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।



মোবাইলফোন ব্যবসায়ী পিকুলের অভিযোগ, শনিবার বিকালে তিনি বাজারের সিকদার হোটেলের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় কথা আছে বলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ডেকে নিয়ে যান সাদা পোশাকে থাকা কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম। সেখানে নিয়ে গিয়ে পিকুলের পকেটে একটি পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ৩-৪টি ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সিরাজ। পিকুল চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে কনস্টেবল সিরাজের হাতে ইয়াবা বড়ি দেখতে পান। এরপর পিকুলের মুখে পুরো ঘটনা শুনে জড়ো হওয়া মানুষজন সিরাজকে কিলঘুষি মারেন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও কিলঘুষি মারার কথা জানিয়েছেন।
পিকুল আরও জানান, অবস্থা বেগতিক দেখে কনস্টেবল সিরাজ ফোন করে কোতোয়ালী থানার এসআই মোকলেসুজ্জামানকে আসতে বলেন। পরে এএসআই আবুল কালাম আজাদ সিরাজকে উদ্ধার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে এসআই মোকলেসুজ্জামান বলেন, ‘রেজাউল নামের এক ডাকাতকে আটক করতে আমি দৌলতদিহি ব্রিজের কাছে দায়িত্বরত ছিলাম। তখন সিরাজ আমাকে ফোন করে বিপদে পড়ার কথা জানান। পরে সিরাজকে উদ্ধার করতে এএসআই আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো হয়।’ তবে এর কিছুক্ষণ পরে মোকলেসুজ্জামান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করেন বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জানতে পারি, কনস্টেবল সিরাজ মাদক দিয়ে একজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।’
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক তৌহিদুর রহমানকে বলেন, ‘সিরাজ ডিবিতে ছিল। সে মাদকাসক্ত। এর আগেও তাকে একই ধরনের অভিযোগে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। সে কোনও অনুমতি ছাড়া বাইরে গিয়ে আবারও একই অপরাধ করেছে।’
তিনি আরও জানান, একজন সাধারণ নাগরিকের মতো তাকেও হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যশোরে এ ধরনের দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কোতোয়ালী থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়।
/এমএ/