ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাস সার্ভিস দিগন্ত পরিবহনের চালক মোরজান, ফারুক মিয়া ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের চালক জামাল হোসেন জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪২ কিলোমিটার অংশের মধ্যে বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় র্গত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর বড় হুজুর বাড়ির সামনের অংশ খুব খারাপ। এতে সড়কটি যান চলাচলের জন্যে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহনের এক্সসেল (যন্ত্রাংশ) ভেঙে প্রায়শই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী দূরপাল্লার বাসযাত্রী তৈমুর রেজা, ইলিয়াস হোসেন, অপূর্ব শর্মা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে আমরা কর্মক্ষেত্রে চলাচল করেছি একাধিক বার। কিন্তু ঈদের আগে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হবে আগে থেকে অবগত ছিলাম না। ফলে গাড়িতে উঠে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করছি। সিটে বসে থাকার মতো পরিবেশ নেই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বেহাল অবস্থার কারণে সড়কটি যেকোনও সময় যেকোনও স্থানে ভাঙন বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ভাদুঘর বেহাল অংশে সড়কটির গর্ত ভরাট করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের একদল শ্রমিক। সেখানে সহকারী প্রকৌশলীর ভূমিকায় মহাসড়ক তদারকি করছেন আলী আহমেদ নামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (চট্টমেট্রো-ড-৫৯৭) একজন ট্রাক চালক। কোন ধরনের ঝাড়– ছাড়া রাস্তার পাশে ড্রামের মধ্যে পিচ গলিয়ে তিনি শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে মহাসড়ক মেরামত করছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি চালক আলী আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড় স্যারের নির্দেশে আমি ড্রাইভারের পাশপাশি মহাসড়ক তদারকির কাজ করছি।’
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের ৪২ কিলোমিটার সড়ক পথে প্রতিদিন ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হওয়ায় ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
/এসএ/এনআই