পাহাড় কেড়ে নিয়েছে কিছু মানুষের স্বপ্ন

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস (ফাইল ফটো)পাহাড়,ঝর্ণা আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আর রূপের রাণী খ্যাত রাঙামাটি হঠাৎই পরিণত হলো মৃত্যুপুরীতে। স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয় এখানকার বাসিন্দারা। প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার (২১ জুন) রাঙামাটিতে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে।  আহত হয়েছেন অনেকেই। পাহাড় ধসে পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে অনেকেই এখন বাকরুদ্ধ। অনেকে আবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁতরাচ্ছেন। এসব পরিবারের শেষ গন্তব্য যে ঠিক কোথায় তা তারা নিজেরাও জানেন না।

হাসপাতালের বেডে চারদিন ধরে শুয়ে আছেন কিশোর জিয়াদ। জিহাদের চাচাতো বোন লিজা জানায়, পাহাড় ধসে তার পরিবারের মা-বাবা ছোট বোনসহ সবাইকে হারিয়েছেন তিনি। মাটিচাপা থেকে অনেক কষ্টে উদ্ধার করা হয়েছিল জিয়াদকে। হাসপাতালে চারদিন ধরে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসএদিকে একই পরিবারের মা ও ছোট ভাই-বোনকে হারিয়ে শোকে কাতর বিজিবি জোয়ান রুবেল আহম্মেদ। চাকরির সুবাদে সে জেলার বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। রুবেল বলেন, ‘আমার বাকি জীবন একাই পার করতে হবে। আমার বাসায় লজিং মাস্টার আমার বন্ধু রাঙামাটি কলেজের বিএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্র শরীফ সেও পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত হন। আমার দুঃখ কাকে বোঝাবো। আমি এতিম হয়ে গেলাম।’

এদিকে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।

তিনি বলেন, ‘পাহাড় ধসে স্মরণকালের ভয়াবহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে  রাঙামাটিতে। এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।’

/এআর/এসএনএইচ/