সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় ধসে মৃত্যু এবং পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষতির প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন খাতে। গত বছর ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ১ লাখ পর্যটকের আগমনে পাহাড় সরগরম থাকলেও এবার পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা।
খাগড়াছড়ি শহরের অত্যাধুনিক হোটেল অরণ্য বিলাসের মালিক স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘সাম্প্রতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। গত বছর অনেক পর্যটক এসেছিলেন। তখন ঈদের ছুটির আগে-পরে মিলিয়ে হোটেলে গড়ে ১০০ জন ছিলেন, কিন্তু এবছর সব খালি রয়েছে।’
খাগড়াছড়ি শহরের আরেক আধুনিক হোটেল গাইরিংয়ের মালিক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জানান, গত বছর ঈদের আগে-পরের মাস খানেক প্রচুর পর্যটক পেয়েছিলেন। সাম্প্রতিক পাহাড় ধসের কারণে এবছর দশ ভাগের একভাগ পর্যটকও নেই। হোটেলের বয়সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। খাগড়াছড়ি শহরের হোটেল মাউন্ট ইনের সহকারী ম্যানেজার চিংলামং মারমাও জানান একই কথা।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান বলেন, ‘পাহাড় ধসের কারণে এবছর এখনও পর্যন্ত পর্যটক কম। তারপরেও যারা আসছে তাদের শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পর্যটন স্পটগুলোতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ ২৪ ঘণ্টাই মোতায়েন থাকবে।’
জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামও পর্যটক কম আসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পাহাড়-নদী-ঝর্ণাসহ আকর্ষণীয় অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে। প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে চাইলে খাগড়াছড়ি সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গা।’ তিনি ভ্রমণ পিপাসুদের নির্ভয়ে খাগড়াছড়ি বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানান।
/এমও/