জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের (মমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার স্বপ্না কুণ্ডু (৩৫) মারা গেছেন ২২ মে। তার ওপর যেসব ফরেনসিক প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব ছিল, সেগুলো এরপর থেকেই আটকে রয়েছে। আর তাতেই থমকে গেছে প্রায় ৫০টি মামলার কার্যক্রম। আইনজীবী ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ফরেনসিক প্রতিবেদন না পেলে কিছু মামলার তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়। তাতে মামলার বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিনের নামে একটি মামলা চলছে। গত ৩ মে ভুক্তভোগী নিজেই মামলাটি দায়ের করেন। গত ৭ মে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ডা. স্বপ্নার অধীনে ওই শিক্ষার্থীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় প্রতিবেদনটি আর পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিভাগ থেকে বলতেও পারছে না, কবে ওই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’ এই মামলার তদন্ত ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও সময়মতো ফরেনসিক প্রতিবেদন না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান দাবি করছেন, কর্মরত অবস্থায় কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মৃত্যু হলে তার অসমাপ্ত প্রতিবেদন কে তৈরি করবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই। এ কারণে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগও কিছু করতে পারছে না।
ডা. গোলাম মোখলেছুর বলেন, ‘ডা. স্বপ্নার দায়িত্বে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ প্রায় ৫০টি মামলার ফরেনসিক প্রতিবেদন ছিল, যেগুলো তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা ফরেনসিক প্রতিবেদন না পেয়ে বিভাগে এসে অভিযোগ করছেন। কিন্তু তাদের কোনও সদুত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিগগিরই অফিস আদেশের মাধ্যমে নিহত মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বপ্না কুণ্ডুর অসমাপ্ত প্রতিবেদন শেষ করার জন্য ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাতে আর প্রতিবেদন দিতে খুব একটা সমস্যা হবে না।’
আরও পড়ুন-
কারখানার ধসে পড়া দেয়ালে স্বপ্ন ভেঙে গেল শিমুলির
দুর্গতদের খাদ্য-চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার : ত্রাণমন্ত্রী
/এএইচ/টিআর/