মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি ফরহাদ হোসেন জানান, প্রায় এক যুগ আসামি ও বাদীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে বিয়ের পর স্বামীর দাবি করা ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় স্ত্রী মারুফা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম, শ্বশুর আমীন গাজী, শাশুড়ী হাসিনা বেগম ও দেবর রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
ওই মামলায় দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারকে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন নাজমুন নাহার। এরপর ২০১৪ সালের ৪ মার্চ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগ আমলে নিয়ে এক নম্বর আসামি স্বামী সিরাজুলের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলটি বিচারের জন্য পাঠান।
বুধবার বিচারিক হাকিম হাবিবুল্যাহ মাহমুদ আসামি সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ১০ আগষ্ট স্বাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আসমি বর্তমানে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত।
এ ব্যাপারে দুপুরে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে স্ত্রী মারুফা খাতুন বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ছিল প্রেমের সম্পর্ক। বিয়েও হলো। তারপর বিচারকের চাকুরি পেয়ে আমাকে আর পছন্দ হতো না। যৌতুকের চাপসহ বিভিন্ন চাপে স্বামীর সংসার ছেড়ে আদালত পর্যন্ত আসতে হয়েছে আমাকে। আসামি বিচারক হওয়ায় আমাকে যথেষ্ট হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এরপরও আমি শেষ দেখতে চাই।’ সুষ্ট বিচারের দাবি করেন মারুফা।
বাদীর আইনজীবী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সময় লেগেছে অভিযোগ গঠনে। আসমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হওয়ায় মামলাটি আলোর মুখ দেখলো।’ সুষ্ট বিচার পাবেন, এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
/এসএমএ/