সাড়ে তিন ঘণ্টায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬৫

মানিকগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহতরা ভিড় জমিয়েছেন হাসপাতালে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন ৬৫ জন। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত জেলার পেচারকান্দা, বানিয়াজুরি, বান্দুটিয়া, বেউথা, জয়রা, সেওতা ও গঙ্গাধরপট্টিসহ ২০-২২টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সদর জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাজেরা খাতুন।

তিনি জানান, এ ধরনের এত রোগী আগে কখনও দেখা যায়নি। আক্রান্তদের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

ডা. হাজেরা খাতুন আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। দুপুর নাগাদ প্রায় ৬৫ ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগে সবার জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের চত্বরে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

এদিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার লুৎফর রহমান জানান, শুধু এই হাসপাতালে গত ছয় মাসে চার হাজার মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

আক্রান্ত ব্যক্তিরা জানান, শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই পথচারীদের কামড়াতে শুরু করে পাগলা কুকুর। দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় কুকুর নিধন সম্ভব হচ্ছে না।’

কুকুরের উপদ্রব প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানান, প্রতিদিনই কোনও না কোনও এলাকায় কুকুরের আক্রমনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কুকুর না মারার জন্য ৭-৮ বছর থেকে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

/এএইচ/এপিএইচ/