ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ: এখনও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা

বরিশাল

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) মামলা হয়। তবে শনিবার (২২ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্তও কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন গ্রামের মাতব্বররা।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে আসামিরা গা ঢাকা দেয়। শনিবার রাত পর্যন্ত মামলার দুই আসামির কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।’ তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের উত্তর বাহাদুরপুর গ্রামের অজিত হালদারের ছেলে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অপু হালদার (২০)।

ওসি বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষার পর ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়। মামলার আলামত হিসেবে ওই ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

মামলার এজহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ভিকটিম মূল আসামি অপুর ছোট বোনের বান্ধবী। এই সূত্রে অপুদের বাড়িতে ভিকটিমের যাতায়াত ছিল। ৫ মে অপু ওই কলেজছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে ওই ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অপু ১৪ জুলাই আবারও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ওই দিনের ঘটনাও ভিডিও করে। পরে ভিকটিম তার পরিবারকে এ ঘটনা জানালে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করেন।

ভিকটিমের স্বজনদের অভিযোগ, অভিযুক্ত অপুর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গ্রামের মাতব্বররা কোনও বিচার না করে পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং আইনের আশ্রয় না নেওয়ার জন্য ভিকটিমের বাবাকে চাপ দেয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় বৃহস্পতিবার।

/এমএ/টিআর/