স্থানীয় সূত্র জানায় শনিবারও (২২ জুলাই) মহাসড়কে সেতুর পশ্চিম পাড়ের সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত দিনভর যানজট ছিল। তখন সওজের সংস্কার ও মেরামত কাজও চলছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ গত রোজার ঈদের আগে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সড়কটির হাটিকুমরুল মোড়ে সংস্কার কাজ করা হলেও এক সপ্তাহের মাথায় আবারও চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। ঈদ এলেই প্রতিবছর এ ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী শনিবার বিকালে জানান, ‘হাটিকুমরুল মোড়ে ইট বিছানোর কাজ চলছে। যে কারণে যানবাহনের ধীরগতি ও থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সয়দাবাদ-নলকা-হাটিকুমরুল মহাসড়কে নলকা সেতুর ভঙ্গুর জয়েন্ট এক্সপানশন মেরামতে এমনিতেই ট্রাফিক ব্যবস্থা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। তার ওপর হাটিকুমরুল মোড়ে রাস্তার সংস্কারে সওজ খোঁড়াখুঁড়ি করছে। যে কারণে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। রোজার ঈদের আগেও সওজের কারণে সেতুর পশ্চিম পাড়ে বার বার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার দিকে পশুর গাড়ি যাবে। সমস্যা আরও তীব্রতর হবে। দ্রুত এসব রাস্তা সংস্কার করতে না পারলে দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা দুটোই বাড়বে। বিষয়টি বার বার সওজকে বলা হলেও তারা কোন গুরত্ব দিচ্ছে না।’
সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মেরামত কাজ বার বার করা হলেও যানবাহনের চাপে সেগুলো টিকছে না। আসন্ন কোরবানির ঈদের সময় যাতে কোন ধরনের বিড়ম্বনার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আবারও মেরামত করা হচ্ছে। নলকা সেতুর উপরিভাগে স্থায়ী মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাটিকুমরুল মোড়ের পশ্চিমে অ্যারিস্টক্রেট হোটেলের সামনের একটি সরু সেতুর সম্প্রসারণ কাজও শুরু হয়েছে।’
/এনআই/