পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সেকেলে হওয়ায় শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই ভোগান্তি কমাতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে পৌরসভা। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর ‘গোপালগঞ্জ পৌরসভা ড্রেনেজ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পাঁচ কিলোমিটার সড়কে এই পাইপ লাইনের কাজ করতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের আবাসিক এলাকা বা বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তা খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। কোনোটির কাজ অর্ধেক, আবার কোনোটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আবার অনেক সড়কের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। এসব রাস্তাগুলো খুঁড়ে ফেলাতে এবং রাস্তার দুই পাশে মাটি রাখায় মানুষজন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। বাসা থেকে বেরিয়ে না পারছেন পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে, না পারছেন রিকশা-ভ্যানে চড়ে কোথাও যেতে। এখন উভয় সংকটে পড়েছেন পৌরবাসী।
বৈশাখী রোডের বাসিন্দা মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক ধীর গতিতে ড্রেনের যে কাজ হচ্ছে। রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এখনও অর্ধেক কাজ হয় নি। আমাদের বাসা থেকে রেরিয়ে বাজারে যেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ছেলে-মেয়েতো বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই কাজটি বৃষ্টির সময় না করে শীত মৌসুমে করলে মানুষের এতো ভোগান্তী হতোনা।’
গোপালগঞ্জ জেলার সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির (সুজনের) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘পৌর এলাকাটি মূলত জেলা শহর। এখানে একটি সড়কের কাজ শেষ করে অন্য সড়ক উন্নয়নের কাজ ধরা উচিৎ ছিল। সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে বৃষ্টি মৌসুমে কাজ করায়। একদিকে বৃষ্টি আবার শহরের রাস্তায় মাটির ডিবি তৈরি করে রাখায় পৌরবাসী ভোগান্তিতে রয়েছে। জনদুর্ভোগ বলতে যা বুঝায় তা গোপালগঞ্জ পৌর এলাকায় চলছে। মানুষের চলাচলের পথ ঠিক রেখে এবং কাজগুলো দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
/এসএনএইচ/