দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের আজিবুদ্দিনের ছেলে মো. সাবুল, আবুল হোসেনের ছেলে খেতাব আলী ও কসিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মতিন পেশায় পাথর শ্রমিক। নদীতে পানি বেড়ে গেলে অথবা পানি কমে গেলে তারা পাথর তোলার কাজ বন্ধ করে মাছ ধরেন। মহানন্দায় পানি কমে গেলে তারা বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে মাছ ধরতে যান।
মো. সাবুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুপুরে মহানন্দা নদীতে ঘড়ি জাল ফেলি আমরা। দুপুরে আমাদের জালে বড় মাছ লেগেছে বুঝতে পারি। সঙ্গে থাকা খেতাব ও মতিনকে জাল ধরতে দিয়ে আমি পানিতে নেমে পড়ি। পরে তিন জন মিলে মাছটি তোলার পর দেখি এটি বিশাল আকারের বাঘাইড় মাছ।’
মাছ তুলে আনার পর ওজন করে ৪৫ কেজি পাওয়া যায়। সাবুল জানান, মাছ ধরার পরপরই গ্রামের ২০ জন এক কেজি করে মাছ কিনে নেন। প্রতি কেজি মাছ ১২শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। মাছের বাকি অংশ তীরনইহাটে নিয়ে যায়। অনেকেই এত বড় মাছ কেনার জন্য মোবাইলে বুকিং দেন। বিকালের মধ্যেই শেষ হয় মাছটির বিক্রি। পুরো মাছটি ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান তিনি। আর সেই টাকা সমান তিন ভাগ করে নিয়েছেন তিন জন।
/টিআর/