বাঘ রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের: পরিবেশমন্ত্রী

বাগেরহাটে এক আলোচনা সভায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ছবি- প্রতিনিধি)

বাঘ রক্ষায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষের মধ্যে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা বেড়েছে। তাই সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ অনেক নিরাপদে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঘ রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। বাঘ হত্যা করলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।’

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দাতা সংস্থার অর্থায়নে সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার প্রকল্পগুলো চলত। আর এখন তা সরকারের অর্থায়নে চলে। আগে সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের টাকা দিতো ইউএসএআইডি। হঠাৎ করে তারা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এতে আমরা হতাশ হইনি। এখন আমরা নিজেদের অর্থেই এ কাজ করি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সমস্যা এখন আমরাই মোকাবিলা করতে পারি। আমরা এখন এই সক্ষমতা অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে দেশবাসী গর্ব করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যখন মন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন দেশে গেছি, তখন বুঝতে পারতাম, ওই সব দেশের মানুষ ভিক্ষা নিতে গেছি বলে মনে করতো। কিন্তু এখন তারা আমাদের সম্মান করে। আমরা নিজেদের টাকায় এখন রাস্তাঘাট-সেতু নির্মাণ করি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন বাঘ হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার প্রস্তাব করেন। বাঘ বাঁচাতে হলে সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনে যারা আগুন দিচ্ছে, তারা জাতীয় শত্রু। বনবিভাগের যেসব অসাধু কর্মচারী চোরা-শিকারিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এর আগে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করব’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন- বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমেদ, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ। সভায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।

/এমএ/