শেবাচিমে চিকিৎসক লাঞ্ছনা: রোগীর স্বজনদের পাল্টা মামলা

শেবাচিম হাসপাতালবরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসককে লাঞ্চিত করা ও পরে রোগীর স্বজনদের মারধরের ঘটনায় রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকেও পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার আসামি তৌহিদুর রহমানের স্ত্রী জান্নাত আরা বুধবার (৯ আগস্ট) এই মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদা হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাল্টা হামলার অভিযোগ এনে শেবাচিমের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সাইফুল আজমের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ইন্টার্ন চিকিৎসককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন জান্নাত আরা।
এর আগে, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ডা. সাইফুল আজম রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি তৌহিদুর রহমান। এছাড়া, আরও সাত-আট জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয় ওই মামলা।
উল্লেখ্য, সোমবার (৭ জুলাই) রাতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত তিন ভাই হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা হলেন— বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নে মেম্বার জামাল সরদার (৩৫), জাহিদ সরদার (৩০) ও আলামিন সরদার (২৫)। এর মধ্যে জাহিদকে জরুরিভাবে পঞ্চম তলার অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
এসময় রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের অপারেশন থিয়েটারের সামনে ভিড় না করে দূরে অবস্থান করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা উপেক্ষা করায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল বলে ডাক্তাররা অভিযোগ করেন। কিছু সময় পর অপারেশন থিয়েটারে থাকা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পোশাক পরিবর্তনের রুমে যান। সেখানে তাদের রেখে যাওয়া ব্যাগ ও মোবাইল সেট দেখতে পাননি বলে অভিযোগ করেন সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাইফুল আজমের কাছে।
চিকিৎসক সাইফুল আজম রোগীর স্বজনদের মোবাইল ও ব্যাগ খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানান এবং তাদের অপারেশন থিয়েটার এলাকা ছেড়ে যেতে ফের অনুরোধ করেন। কিন্তু এরই মধ্যে রোগীর স্বজনরা তাদের চোর বলা হয়েছে বলে দাবি করে সাইফুল আজমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এদিকে, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন (ইন্টার্ন ও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী) এসে রোগীর স্বজনদের খুঁজতে থাকেন। এসময় তৌহিদ ও শামীম নামে রোগীর দুই স্বজনকে ধরে ওই তরুণরা মারধর করেন এবং পঞ্চম তলার সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের রুমে নিয়ে আটকে রাখেন। তারা পরে শামীমকে ছেড়ে দিয়ে তৌহিদকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

আরও পড়ুন-

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসক লাঞ্ছিত, আটক এক

/টিআর/