শেরপুরে ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে

 

শেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে (ছবি-প্রতিনিধি)

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু করেছে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বন্যায় ডুবে যাওয়া নালিতাবাড়ীর পৌর শহর ও আটটি ইউনিয়নের বাড়িঘর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ভোগাই নদীর দশটি  স্থানের প্রায় ২ হাজার ৯শ ১০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। এতে পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ হাজার ৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়। তবে রবিবার ভোর থেকেই এসব অঞ্চলের পানি নেমে যেতে শুরু করে। 

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলার খালভাঙ্গা গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে জমিতে পানি আছে। তাছাড়া নদীর পানির সঙ্গে বালু এসে আমনের জমি ভরে গেছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বলেন, ‘এখনও ৮শ হেক্টর আমনের বীজতলা ও  রোপা আমন পানির নিচে আছে। তবে দুই-একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। ফলে কৃষকের কোনও ক্ষতি হবে না।

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘প্রাথমিক হিসেবে পাহাড়ি ঢলে ১শ ১০ হেক্টর জমির রোপা আমন, আমন বীজতলা ও সবজি আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নির্ধারণ করা যাবে।’  

তবে ভোগাই নদীতে পাহাড়ি ঢলের ফলে প্লাবিত শেরপুর সদরের গাজীরখামার ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এ দুটি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, আমন বীজতলা ও সবজির আবাদ এখনও পানিতে তলিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

/এএইচ/