ঝুঁকিতে গাইবান্ধার সিংড়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

GAIBANDHA BADH PHOTO-11অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে করে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে গত তিনদিন ধরে এসব এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

পানির চাপ বাড়তে থাকায় ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জেলার প্রায় ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে অন্তত ১০টি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে বিকেল থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। সিংড়া-রতনপুর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাঁশ, বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন। রংপুর-৬৬ ডিভিশনের সেনাবাহিনীর ৮৫ জন কারিগরি সেনাসদস্য কাজ শুরু করেছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘পানির প্রবল চাপে বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট ঝঁকিপূর্ণ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এর আগে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এবারের বন্যায় পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক পয়েন্ট ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য আগামভাবে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর কারিগরি সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আশা করা হচ্ছে, সেনাসদস্যদের তৎপরতায় বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে’।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন,‘বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ ও ধ্বসের আশঙ্কা থাকায় বাঁধ সংলগ্ন লোকজনকে তাদের সম্পদ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাঁধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে’।

/এমপি/