দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

দিনাজপুরদিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। শহরের পানি না কমলেও কমতে শুরু করছে গ্রামাঞ্চলের পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, বুধবারের মধ্যেই শহর ও গ্রামাঞ্চলের পানি সম্পূর্ণ নিচে নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে নিখোঁজ থাকা আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর পূর্ণভবা নদীর বিপদসীমা ৩৩.৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩৪.০০ মিটারে। একইসঙ্গে ইছামতি নদীর বিপদসীমা ২৯.৯৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩০.১২ মিটার দিয়ে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে আত্রাই নদীর। এই নদীর বিপদসীমা ৩৯.৬৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩৮.৯৫ মিটার দিয়ে।

জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান,নিখোঁজ থাকা আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই জেলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে। নিহত তিনজন হলেন দিনাজপুর জেলা সদরের সুইহারী রহমতপাড়া এলাকার আজাদ মিয়ার ছেলে হুমায়ুন আহমেদ (১৬), বিরল উপজেলার গড়বাড়ী এলাকার সুরাই মুর্মুর মেয়ে মালিয়া মুর্মু (৫৯) ও একই উপজেলার ভুমিগাঁও এলাকার আফসার আলীর ছেলে মাকসুদুর রহমান (২০)। এর আগে গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। 

জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান, বন্যা কবলিতদের মাঝে ইতোমধ্যে ১৬২ মে.টন চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ ৭ লাখ টাকা। আরও ৩০০ মে.টন চাল ও ৫০ লাখ টাকা চেয়ে মমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বন্যায় কবলিত মানুষজনের খোঁজখবর ও তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। তিনি জানান, ‘কোনভাবেই যাতে বন্যা কবলিত মানুষজনের কষ্ট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে যতটা সম্ভব কাজ করা হচ্ছে।’

দিনাজপুরে ত্রাণ বিতরণ করেন মির্জা ফখরুলবন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দিনাজপুর যেভাবে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে তা নজিরবিহীন। সরকারের ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’ পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের এই এলাকাকে দুর্গত ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

/এনআই/