চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, তার ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির কারণে শেরপুর-জামালপুর সংযোগ সড়কের চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের পোড়ার দোকান নামক স্থানের কজওয়ের (সিমেন্ট ও পাথর দিয়ে ঢালাই রাস্তা) ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যে কোনও সময় ওই সড়কে চলাচলকারি সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পানির তোড়ে ইতোমধ্যে কজওয়ের দক্ষিণ প্রান্তের সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শেরপুর-জামালপুর সংযোগ সড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এছাড়া সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ধীর গতিতে যান চলাচলের কারণে কজওয়েতে দীর্ঘ যানজটেরসৃষ্টি হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রাথমিক হিসাবে শেরপুর সদর উপজেলার ৩শ ৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন, আমন বীজতলা ও সবজি আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিাকা তৈরি শেষ হলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শেরপুর জেলার কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য ১শ মে. টন ধান বীজ বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পূর্ণ প্রস্ততি রয়েছে।’
/এনআই/