আলমগীর শাহী সুমন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় পৌরসভার হিন্দুকান্দি নামাপাড়া, ধাপ, কালীতলা, ফকিরপাড়া, হুন্দাইপাড়া, গজারিয়া, বাগবেড়, দারুনা, টোনাপাড়া, বেপারীপাড়া, কৈয়েরপাড়া, নিজবাটিয়া, সাহাপাড়া, কুঠিবাড়ি আংশিক, উত্তর হিন্দুকান্দি তিনকোণা পুকুর, দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, ধাপ পশ্চিমসহ ১৭ মহল্লায় ২ হাজার ৫৮৩ পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও পৌরসভার এসব এলাকার জন্য ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
তিনি দাবি করেন, প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির ইশারায় ত্রাণ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই তিনি ও ১২ কাউন্সিলর বাধ্য হয়ে ত্রাণ বরাদ্দ পেতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে আবেদন দিয়েছেন। এর অনুলিপি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম জানান, মেয়র ছাড়াই পৌরসভা ও উপজেলা সদরের সীমান্তবর্তী এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেরিতে হওয়ায় বরাদ্দ হয়নি। জেলা প্রশাসক পৌর এলাকার জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) মেয়রের মাধ্যমে এক হাজার তালিকা তৈরি এবং রবিবার (২০ আগস্ট) তা বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কোন জনপ্রতিনিধির নির্দেশে নয়; তালিকা না হওয়ায় পৌর এলাকার বরাদ্দ আসেনি। এ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
/এনআই/
আরও পড়ুন:
বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসিরা