ঝুঁকিতে কুয়াকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ

ঝুঁকিতে কুয়াকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ সমুদ্রের ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে অব্যাহত ভাঙনের ফলে ছোট হয়ে আসছে কুয়াকাটা। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। অব্যাহত ভাঙনে সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন একমাত্র কুয়াকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ফার্ম অ্যান্ড ফার্মস ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যোনের শত শত গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

ঝুঁকিতে কুয়াকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড দফতর সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের মানুষের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য খাজুরা পয়েন্ট থেকে ধূলাস্বার ইউনিয়নের গঙ্গামতির চর পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য পৃথিবীতে বিরল। এ কারণে শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা সব ঋতুতেই স্থানটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে। কিন্তু ঢেউয়ের তান্ডবে কুয়াকাটার মূল রক্ষা বাঁধটি এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮ নং পোল্ডারের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে খাজুরা পয়েন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটার ঝাউবাগান শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়িবাঁধটি।

ঝুঁকিতে কুয়াকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ স্থানীয় মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে সাগরে বড় বড় ঢেউ হওয়ায় সাগর ভাঙতে ভাঙতে মূল বাঁধের কাছে এসে গেছে। এবার ভাঙনের তীব্রতা বেশি। গাছপালা সব সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে সিসি ব্লক পাইলিং করে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা উচিত।’

কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, সাগরের এই ভাঙন থেকে কুয়াকাটাকে  রক্ষা করতে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘৪৮ নং পোল্ডার বেড়িবাঁধের কুয়াকাটা অংশের ৫ কিলোমিটার এলাকায় ২০০ কোটি টাকার একটি ডিপিডি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

/এনআই/