খামারটির মালিকরা জানান, ২০১৬ সালে তারা দশ জন বেকার তরুণ ‘টেন স্টার’ নাম দিয়ে এই গরুর খামারটি গড়ে তোলেন। শুরুতে ১৫ টি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তারা। বর্তমানে তাদের খামারে দেশি, হরিয়ান, অস্ট্রেলিয়া ও সিংদী প্রজাতির ৬০টি গরু রয়েছে। ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা মূল্যের গরুও আছে। গরুগুলোর সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছে বেতনভুক্ত কয়েকজন কর্মচারী।
খামারটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের খামারে কখনই গরু মোটাতাজাকরণের জন্য রাসায়নিক খাদ্য, স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না। প্রাকৃতিক খাদ্যেই আমরা গরু মোটাতাজা করি। এ জন্য আমরা দুই একর জমিতে নেপোলিয়ন ঘাস চাষ করেছি। সেই সঙ্গে ভুট্টা, খড়, খৈল, গমের ভূসি, ধানের কুড়াসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবারও গরুকে দিয়ে থাকি।’
খামারটির ম্যানেজার বাবর আলী বিশ্বাস বলেন, ‘ব্যাংক লোন ছাড়াই আমরা খামারটি গড়ে তুলেছি। নিজেরাই দিন রাত শ্রম দেই খামারের পেছনে। কিন্তু, এটি দেখভালের জন্য কখনও উপজেলা প্রাণিসম্পদ থেকে কেউ আসেন না। কখনও যদি কোনও গরু অসুস্থ হয় তখন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা সেখানে গরু নিয়ে যেতে বলেন।’
পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে খামারটি পরির্শন করেছি। প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু মোটাতাজাকরণ একটি ভাল উদ্যোগ। এই গরুর মাংস নির্ভেজাল। এ রকম খামার ওই এলাকায় আরও গড়ে উঠেছে। কোরবানির ঈদে গরুর বাজার ভাল থাকলে খামারিরা লাভবান হবে।’