বিমানবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীত করবে চসিক

নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভা (ছবি- চট্টগ্রাম ব্যুরো)

চট্টগ্রাম নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৮ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সড়ক সংশ্লিষ্ট ২১ প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে করপোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

সোমবার (২১ আগস্ট) নগর ভবনের মেয়র সম্মেলন কক্ষে এক সভায় বিমানবন্দর সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা সড়ক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়। সভায় জানানো হয়, ৬০ ফুট প্রস্থের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটির ড্রাইডক থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বিমানবন্দর সড়কটি নগরীর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বিদেশিরা বিমানবন্দরে অবতরণ করে এই সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থা থাকায় প্রথম দেখাতেই যে কেউ চট্টগ্রাম সর্ম্পকে নেতিবাচক ধারণা পেতে পারেন। সেই চিন্তা থেকে আমরা সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম গতিশীল করা, বিমানবন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার যাত্রীদের জন্য এই সড়ক চার লেনে উন্নীত করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছিল। এটা আমাদেরকে করতেই হবে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রোডে বন্দরের ইজারা দেওয়া সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থাপনাও রয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা এই সভার আয়োজন করেছি। খুব শিগগির আমরা এই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করব।’

ড্রাইডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম এ লতিফ বলেন, ‘বর্তমান ডকইয়ার্ডের পাশাপাশি নতুন ডকইয়ার্ড স্থাপনের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

সভায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী লিয়াকত আলী সড়ক সংলগ্ন রেল লাইনের জন্য নিয়মানুযায়ী ১৬ ফুট জায়গা রেখে সড়ক সম্প্রসারণের পক্ষে মত দেন।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) প্রকৌশলী মো. আবু সালেহ ইকবাল ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লি. ডিজিএম (অপারেশন) কাজী মনজুর রহমান প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ট্যাংক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তিনি বিষয়টি বিবেচনায় রাখার অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।