ভোলায় ব্যবসায়ীর দোকান থেকে সরকারি চাল আটকের ঘটনায় অবশেষে মামলা

ভোলা

ভোলায় সরকারি চাল মজুদ করার অভিযোগে ১৯ আগস্ট রাতে জেলা প্রশাসনের হাতে চাল জব্দ, দোকান সিলগালা ও দু’জনকে আটকের ঘটনার দু’দিন পর অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২১ আগস্ট মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, ‘সরকারি চাল চুরি ও চুরি হওয়া চাল উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার ভোলা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৈয়বুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সের কর্মচারি শংকর ও ট্রাক চালক জামালকে আসামি করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন সোমবার বিকালে বলেন, ‘সরকরি চাল ব্যবসায়ীর দোকানে মজুদ রাখা অপরাধ। তাই ওই চাল জব্দ করা হয়েছে এবং দোকান সিলগালা করে দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অবনি মোহন দাস বলেন, ‘ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জব্দকৃত চাল অবৈধ নয়, বৈধ। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ী ষড়যন্ত্রের শিকার।’

উল্লেখ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গত ১৯ আগস্ট রাতে খালপাড় রোডে অভিযান চালিয়ে মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স নামের একটি দোকানে মজুদ রাখা প্রায় ৮১ মেট্রিকটন (২হাজার ৭শ বস্তা) সরকারি চাল এবং একটি চালবাহী ট্রাক জব্দ করা হয়। চালগুলো গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা ছিল। এসময় দোকানের কর্মচারি শংকর ও ট্রাক চালক জামালকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে জেলা প্রশাসন। এরপর মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স নামের ওই দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। মজুদকৃত চাল চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ খাদ্যগুদাম থেকে আনা হয়েছিল।