সিলেট সীমান্তে চামড়া পাচার রোধে পুলিশ-বিজিবি’র কড়া প্রহরা

চামড়া ব্যবসা (ফাইল ছবি)

ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয় সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরের এক সপ্তাহ পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর সিলেট বিভাগ থেকে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে চামড়া কিনে কোনও ধরণের প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই সীমান্ত পথ ব্যবহার করে অধিক দামে তা ভারতে পাচার করে দেয় একটি চক্র। এবারও ইতোমধ্যে চামড়া পাচারকারী চক্রের সদস্যরা চামড়া কেনার জন্য নগদ টাকা না এনে, কয়েক ট্রাক গরু নিয়ে এসেছে সিলেট শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করার জন্য। আর পশু বিক্রি করার টাকা দিয়ে এ চক্রটি কৌশলে সিলেট শহর, শহরতলী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অধিক মূল্যে চামড়া কিনবে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবার অর্ধকোটি টাকার চামড়া সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে চক্রটি। 

এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড  বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, সিলেটের চামড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতে পাচার না হয় সেজন্য সর্তকমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিজিবি। চামড়া পাচারকারী চক্র আগরতলা, সরাইল, জাফলং, তামাবিল সীমান্তসহ অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে যাতে চামড়া পাচার করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিছানাকান্দি, উৎমা, সোনারহাট, কালাইরাগ, সুতারকান্দি পয়েন্টকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলা ও মহানগরী এলাকা হয়ে চামড়া যাতে পাচার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এজন্য মহানগরীর ৬টি থানা ও জেলা পুলিশের ১১টি থানাসহ সব পুলিশ ফাঁড়িকে সর্তক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণসুরমা থেকে নাজিরবাজার, লামাকাজি, টিলাগড়, শাহপরান গেইট, বাইপাস ও প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, জগন্নাথপুর, বালাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের নজরদারি থাকবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে চামড়া পাচার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সর্তক অবস্থানে থাকবে বিজিবি। 

জেলা পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাবে। ইতোমধ্যে আমরা চামড়া পাচার রোধের ব্যাপারে সভা করেছি। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি থাকবে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, ‘চামড়া যাতে পাচার না হয় সেজন্য শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারি বৃদ্ধি করেছেপুলিশ।’

শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, ‘সিলেট থেকে এবার চামড়া পাচারের তেমন কোনও তথ্য এখনও আমরা পাইনি। তবে সতর্ক রয়েছি।’