মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, মারামারি থামাতে গিয়ে তিনিসহ চারজন ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। এক পুলিশ সদস্যকে মিঠামইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনিসহ অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শটগানের সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। গুলি না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো। ’
ওসি বলেন, ‘নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, ঘাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এলাকার একটি পুকুরের পাড় নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। রবিবার বিকালে এই পুকুরের ভাঙা পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চু মিয়ার সমর্থকসহ দুই ব্যক্তি আহত হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করে।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে পুলিশ গিয়ে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পুকুরের পাড়টি মেরামতের উদ্যোগ নেয়। পাড় মেরামত শেষ হতে না হতেই পুলিশের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে আরেক দফা কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ সময় দুপক্ষকে নিবৃত্ত করে পুলিশ ঘাগড়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এলাকার রতন কর জানান, কিছুক্ষণ পরই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেও তাদের সংঘর্ষ থামাতে পারেনি।