ছাত্রলীগ নেতার হাতে জেলা পরিষদ সদস্য লাঞ্ছিত

 

আহম্মদ আলী পোদ্দারকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের হাতে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ আলী পোদ্দার লাঞ্ছিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রূহানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত পোদ্দারের ভাতিজা লিখন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সদর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ায় নারী সংক্রান্ত একটি বিরোধ মিমাংসা করতে যান জেলা পরিষদের সদস্য আহম্মদ আলী পোদ্দার। সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান তার সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে পোদ্দারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মেহেদী তার সমর্থকদের নিয়ে রতনকে এলাপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এসময় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন রতন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর সেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরপরই জেলা পরিষদ সদস্য পোদ্দারের সমর্থকরা মেহেদী ও তার সঙ্গীদের খোঁজে লাঠি হাতে বেরিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ফুলবাড়ীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানের মোবাইলফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা করে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার ওয়াহিদুন্নবী সাগর বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আহম্মদ আলী পোদ্দার রতন নব্বইয়ের দশকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।