শ্রীপুরে শিশু ধর্ষণ: ধামাচাপা দিতে সপরিবারে সাত দিন ‘নজরবন্দি’

গাজীপুরগাজীপুরের শ্রীপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের পর সাত দিন তাকেসহ তার পরিবারকে ‘নজরবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চিনাশুখানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাসহ শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

শিশুর মা অভিযোগ করেছেন, ঘটনা প্রকাশ না করতে এবং বাড়ির বাইরে না যেতে স্থানীয় রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সুফিয়া বেগম তাদের হুমকি দিয়েছেন। এরপর থেকে তারা বাড়িতে অনেকটা নজরবন্দি হয়ে ছিলেন। শিশুটি স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের মৃত রহম উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫)। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তের ভাতিজা রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তের ভাই দুলাল (৪৮), তার ছেলে রুবেল (২২),হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াকে (৪৫) অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে।

শিশুর মা বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে ডেকে নেয়। ঝাড়ু দিয়ে ফেরার সময় মুখ চেপে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এতে তিনি রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুফিয়া খাতুনের কাছে বিচার দেন। কিন্তু তিনি নানা কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে মা-মেয়েকে নিষেধ করেন।

মঙ্গলবার সকালে ইউপি সদস্য সুফিয়া খাতুন ও তার স্বামী শিশুটির বাড়ির লোকজনকে ডেকে শাসিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতে এবং কোথাও না যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করে। এ বিষয়ে সুফিয়া বেগম বলেন, ‘শিশুটির মা ভাল নয়। তার তিন মেয়েকে আমিই কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। তাই একটু শাসন করেছি।’

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে ভিকটিম ও তার মাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে আরও তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের ভাতিজা রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’