বগুড়া বিএনপির সভাপতির জামিন নামঞ্জুর, জেলায় শনিবার অর্ধদিবস হরতাল

জেলা বিএনপির সভাপতিকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছেবগুড়ায় নাশকতার মামলায় দ্বিতীয় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এর প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আগামী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেলায় অর্ধদিবস হরতালসহ ৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শহরের নবাববাড়ি দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় সভাপতিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানানো হয়।

মামলা সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে শহরতলির বারপুরে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ঢাকামুখী আলুবোঝাই একটি চলন্ত ট্রাকে কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ট্রাকে আগুন ধরে যায় এবং চালক পটল মিয়ার শরীর ঝলসে যায়। হেলপার লাফ দিলে বেঁচে যান।

জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ জানান, ওই ঘটনায় রাতেই এসআই আমিরুল ইসলাম সদর থানায় বিএনপি ও জামায়াতের ৩০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মজিবর রহমান ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে ৬৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এজাহারে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের নাম না থাকলেও চার্জশিটে তাকে ৫৪ নম্বরে রাখা হয়। মামলার অধিকাংশ আসামি জামিনে আছেন। আগামী ২০ নভেম্বর মামলার তারিখ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাইফুল ইসলাম ভাঙচুরের মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। তার পক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি একেএম সাইফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি শেখ মোখলেসুর রহমান, বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকসহ শতাধিক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে নাশকতার মামলায় দ্বিতীয় স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক ইমদাদুল হক রিপন শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন শনিবার জেলায় অর্ধদিবস (বেলা ১টা পর্যন্ত) হরতালসহ ৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি ওই সময়ের মধ্যে সভাপতির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পাপন, এমআর ইসলাম স্বাধীন, খায়রুল বাশার, পরিমল সাহা, মাসুদ রানা, শাহ্ মেহেদী হাসান হিমু, নাজমা আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।