তিনি জানান, বুধবার আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের জিএম ক্ষিতিশ সরকার, হিসাবরক্ষক আরমান হোসেন, প্রহরী ওমর আলী, মো. ওসমান ও উত্তমকে আটক করে পুলিশ। তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মূল কারখানা ভবনের পাশের একটি ৬ তলা ভবনকে কারখানার বিভিন্ন কাজ, গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বুধবার সকালে ভবনের নিচতলায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় আগুনের ফুলকি পাশে রাখা রাসায়নিক পদার্থের ওপর পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।এতে ৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হন।
জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন মিলটি পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন না করেই এতদিন ধরে চলছিল। অগ্নিকাণ্ডে ছয় শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলী মজুমদার।
তিনি আরও জানান, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে ৬ শ্রমিকের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মিলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা, পাশের সামিট কোম্পানি থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’