টাঙ্গাইলের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন রাখার দাবি

টাঙ্গাইলের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন রাখার দাবিবাসাইল উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাসাইল উপজেলার সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফাইভ স্টার কিন্ডার গার্টেন স্কুল ও অনলাইন নিউজপোর্টাল বাসাইলসংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র উদ্যোগে উপজেলার বাথুলীসাদী বাজারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বাথুলীসাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়, শাহীন স্কুলের বটতলা শাখা, বটতলা মিডিয়া কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকার সব পেশার সাধারণ মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, চ্যানেল আই’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মুসলিম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খান, সামাজিক সহায়ক সংস্থা ‘ঠিকানা’র চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান রুমেল, ফাইভ স্টার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রিন্সিপাল মেহেদী হাসান, বাসাইলসংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র সম্পাদক ও প্রকাশক এনায়েত করিম বিজয় প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আজ যদি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাপে কাটার ভ্যাকসিন থাকতো তাহলে আমরা সম্ভাবনাময়ী আয়েশা আক্তার শিমুকে হারাতাম না। আর কোনও সম্ভাবনাকে আমরা হারাতে চাই না। তাই বাসাইল উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন রাখা হোক।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সাপের দংশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার শিমুর মৃত্যু হয়। আহতাবস্থায় তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের কোথাও কি সাপের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। স্ট্যাটাস দিয়ে বিষের যন্ত্রণায় তিনি ফেসবুক থেকে বের হয়ে যান। পরে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাপপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় সাপে কাটার ভ্যাকসিন নেই। তার পর রাত একটায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আগে শিমুর শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। শিমু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বিসিএস ক্যাডারশীপের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ৩৬ তম বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় চমৎকার পারফর্ম দিয়ে আসা এবং ৩৭ তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার গৌরব অর্জন করে।