আগাম জাতের ধানের ফলন ও দামে খুশি কৃষকরা

দিনাজপুরদিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। মৌসুমের অনেক আগেই ঘরে ফসল তুলতে পেরে, কম খরচে বেশি ফলন পেয়ে এবং ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এসব এলাকার কৃষকরা। অপরদিকে ধানের পাশাপাশি খড় বিক্রি করেও বাড়তি লাভবান হচ্ছেন তারা। ফলে হাইব্রিড জাতের আগামধান চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার খট্টামাধবপাড়া, বুয়ালদাড়া ও আলিহাট এলাকার ৫৯৭ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টিয়া, হিরা, ধানী গোল্ড ও এসিআই জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ হয়। এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ।

হিলির খট্টামাধবপাড়া এলাকার কৃষক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবছরই আমি আগাম জাতের ধান চাষ করি। ধান রোপনের পর রোগ-বালাই না হওয়ায় সার ও কিটনাশক খরচও কম লাগে। এছাড়াও এই ধানের ফলনও বেশ ভালো। বর্তমানে বিঘা প্রতি ধানের উৎপাদন হচ্ছে ১৩-১৪ মণ। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার পঞ্চাশ টাকায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দেয়। কিন্তু আগাম জাতের ধান আসায় গরুর খাবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এছাড়াও বাড়তি খড় প্রতি বোঝা সাত টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর আগাম ফসল কাটায় একই জমিতে আগাম জাতের আলু ও পরে ভুট্টা লাগানো যায়। ফলে বছরে এক জমি থেকে তিনটি ফসল তোলা সম্ভব হয়।’

কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, তার ৪৬ শতক জমিতে আগাম জাতের হাইব্রিড ধান রোপন করতে খরচ হয়েছে ছয় হাজার টাকা। আর জমি থেকে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে ২০ হাজার ও খড় বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন।  ফলে খরচ বাদে ৪৬ শতক জমিতে ধান চাষ করে ২৪ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আগামীতে আরও জমিতে আগাম জাতের হাইব্রিড ধান রোপন করবেন তিনি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. শামীমা নাজনিন বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলায় প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে তিন মেট্রিকটন করে ফলন হয়েছে। আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে একই জমিতে কৃষকরা আগাম জাতের রবি শষ্য আবাদ করতে শুরু করেছেন। ফলে আগাম ফসল পেয়ে বেশ খুশি কৃষকরা।’

আরও পড়ুন:
কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি!
‘টিফিনের সময় পেট ভইরা কলের পানি খাই’