টেকনাফে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ৩১ রোহিঙ্গা উদ্ধার

কক্সবাজারমাদকবিরোধী অভিযানের তল্লাশি চালাতে গিয়ে ৩১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে মাদকবিরোধী যৌথ টাস্কফোর্স। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলমের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল থেকে এ অভিযান শুরু হওয়ার পর রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.এহসান মুরাদ।
জানা গেছে, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সংসদীয় আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সৎ ভাই আব্দুর শুক্কুর ও শীলবনিয়ারপাড়ার সাইফুল করিমের বাড়িতেও তল্লাশি চালান এই যৌথ টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমদ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসান মুরাদসহ বিজিবি, র্যা ব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগে দেশে ব্যাপকভাবে ইয়াবার চালান ঢুকে পড়ছে— এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসান মুরাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশসহ যৌথ টাস্কফোর্সের সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে টেকনাফ উপজেলার চেয়ারম্যানের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে ৩১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে নারী-শিশুও আছেন। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যও চেয়অরম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটিআরও বলেন, ‘অভিযানে আরও কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাইফুল করিমের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ স্পিরিট উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্য তার ভাই জিয়াউল করিম জিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।’
তবে নিজের বাড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল নেঙ্গুরবিল এলাকায় আমার ভাড়া দেওয়া একটি বাসায় অভিযান চালিয়েছে। তবে এসময় কোনও রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন-
জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে শেষ হলো মানবতাবিরোধী অপরাধের তৃতীয় দফা তদন্ত