উভয় প্রতিষ্ঠান নদী থেকে এখন মাত্র কয়েক হাত দূরত্বে রয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন, তারা সরকারিভাবে কোনও ত্রাণ বা সাহায্য চান না। তারা চান নদী ভাঙনের হাত থেকে সুরক্ষা, আর মাথা গোঁজার জন্য একটু জমি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম তালুকদার বাদল বলেন, কারখানা নদীর ভাঙনে লক্ষ্মীপাশা বাজার সংলগ্ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি বর্তমানে বিলীন হতে চলেছে। এছাড়া, ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে কয়েকশ একর ফসলি জমি এবং কবাই ইউনিয়ন বাজারসহ বসত ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এ ঝুঁকির বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা সত্ত্বেও এখনও কোনও সুফল পাওয়া যায়নি। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই ভবনটি সরিয়ে নেওয়া না হলে, নদীর ভাঙনে পুরো ভবনটি বিলীন হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক কোটি ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার কালাবদর নদীর খুবই কাছাকাছি থাকায় উদ্বোধনের আগেই যেকোনও সময় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ভাঙনের মুখে হুমকিতে রয়েছে শ্রীপুর বাজার, বাহেরচর শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর জামে মসজিদ ও বাহেরচর কওমি মাদ্রাসা। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তহসিল অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ দুই শতাধিক বসতঘর ও তিন শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বসতভিটা হারিয়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছে কয়েকশ পরিবার।
চেয়ারম্যান আরও জানান, শ্রীপুরে নদী ভাঙন রক্ষা কমিটির ব্যানারে সম্প্রতি সহ্স্রাধিক নারী-পুরুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছেন। নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।