ওসি জানান, এলাকাবাসী জামাতা মুসা মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি এম এ হক জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মেয়ের জামাতা মুসা মিয়ার সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে শ্বশুর জাফর আলী ঝগড়া থামাতে যায়। এ সময় পাশে থাকা ইট দিয়ে মুসা শ্বশুরের বুকের বামপাশে আঘাত করে। এতে জাফর মিয়া সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় এলাকাবাসী জামাই মুসাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
মুছা মিয়ার স্ত্রী খায়রুননেছা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতনের কারণে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। সে তার জামাই মুছা মিয়ার সঙ্গে যেতে না চাওয়ার কারণে মুছা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবাকে হত্যা করে।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।