ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা গ্রামের মোখলেছুর রহমান ১৯৯৭ সালে সোদি আরব যান। তিনি জেদ্দা শহরের বালাদ মার্কেটে রেডিমেট গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। সন্তানরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ব্যবসার আয় দিয়েই সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার খরচ চালান। প্রতিমাসে কিছু টাকা বাংলাদেশে স্বজনদের কাছেও পাঠান। তবে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে সৌদি সরকার প্রতি মাসে পরিবারের সদস্য প্রতি ১০০ রিয়াল, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০ রিয়াল, পরের বছর থেকে ৩০০ রিয়াল কর আরোপ করে। ফলে বেকায়দায় পরেছেন প্রবাসী মোখলেছুর রহমান। তিনি চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ৬০০ রিয়াল করে কর পরিশোধ করে আসছেন। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে তাকে কর বাবদ প্রতি মাসে গুনতে হবে এক হাজার ২০০ রিয়াল।
সৌদি আরবের একই শহরের ব্যবসা করেন বাংলাদেশের চাঁদপুরের ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসেন। করের ফাঁদে পড়ে তিনিও পরিবারের সদস্যদের গত আগস্ট মাসে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে তিনিও দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাহমুদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন সৌদি আরবে থেকে কোনও লাভ নেই। করের বোঝা টানতে গিয়ে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। সংসারের খরচ সামলাতে না পেরে স্ত্রী ও সন্তানদের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মাসিহ্ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো সৌদি আরবেও ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দাভাব চলছে। ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী দেশে চলে যাচ্ছেন। তবে কর আরোপের কারণে এখনও রেমিট্যান্সে প্রভাব পরেনি।’