টিটু রায় ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

আদালতে টিটু রায় (ছবি- প্রতিনিধি)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার টিটু রায়ের আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- পরিদর্শক) শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন টিটু রায়ের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

আদালত সূত্র জানায়, আজ (শনিবার) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে টিটু রায়কে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই বাবুল হোসেন টিটু রায়কে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক টিটু রায়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৫ নভেম্বর টিটু রায়কে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে নীলফামারীর জলঢাকার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা গ্রাম থেকে টিটু রায়কে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টিটু রায় গোলনা গ্রামে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় কৈলাশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি বেড়াতে আসে।  সেখান থেকে মঙ্গলবার ভোরে চারটি গাড়িতে পুলিশের একটি দল এসে তাকে গ্রেফতার করে। পরে ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তার গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন। 

উল্লেখ্য, ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাসের অভিযোগ তুলে ১০ নভেম্বর টিটু রায়ের গ্রাম ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানায়, ওইদিন জুমার নামাজের পর আশেপাশের ৬-৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঠাকুরপাড়া গ্রামে হামলা চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে ছয় জন আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে একজন মারা যান। ওইদিন ঠাকুরপাড়ার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর করা হয় ২০টি বাড়ি। হামলাকারীরা বাড়িঘরের মালামাল, বাসনপত্র, গরু-ছাগলও লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।