সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে মৎস্য গবেষণা শুরু

সমুদ্রে ভাসার আগে ‘মীন সন্ধানী’র অভিযাত্রীদের একাংশ

বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের নীল জলরাশিতে পাঁচ দিনব্যাপী গবেষণা শুরু করেছে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন। আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন জরিপ জাহাজ `মীন সন্ধানী'র সাহায্যে এ গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২টি বিভাগের মোট ৪০ জন গবেষক।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) পতেঙ্গায় মেরিন ফিশারিজ সার্ভেল্যান্স চেকপোস্ট ঘাটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ গবেষণা করা হচ্ছে। এ গবেষণার ফলাফল সাগরের জীব বৈচিত্র্যের নিরাপদ প্রজনন ও ব্লু-ইকনোমিতে বিশেষ গুরুত্ব রাখবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া, নৌবাহিনী কর্মকর্তা ও ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শেষে গবেষকদের নিয়ে জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের পথে রওনা দেয়। ২৪ তারিখ পর্যন্ত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে অবস্থান করে এ গবেষণা চালাবেন গবেষকরা। 

উল্লেখ্য, ৩৭ দশমিক ৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের আধুনিক প্রযুক্তির জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’ সমুদ্রের পানিতে ৩৬০ ডিগ্রি অবতলে ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত জীবিত যে কোনও জলজ প্রাণী চিহ্নিত করতে সক্ষম।