রসিক নির্বাচন: জাপায় বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন এরশাদের ভাতিজা

মকবুল শাহারিয়ার আসিফরংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়বেন এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহারিয়ার আসিফ। তার দাবি, তাকে মনোনয়ন না দেওয়াটা তাদের পরিবারের প্রতি অবিচার। সোমবার (২০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসে জাপার দুই নেতা এসব কথা বলেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় রংপুরের নির্বাচন কার্যালয়ে যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এসময় সকাল থেকে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা আগে থেকেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এই প্রার্থীকে স্বাগত জানান। পরে তিনি দলের ৫ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকারে কাছে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জাপা নেতা আব্দুর রাজ্জাক, যুবসংহতি নেতা নাজিমুজ্জামান নাজিম ও জাপা নেত্রী দিলারা বেগম।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মোস্তফা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘রংপুর সদর-৩ আসনটি দলের চেয়ারম্যানের আসন। এর মধ্যেই পড়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন। এরশাদের নিজের নির্বাচনি এলাকা হওয়ায় রসিক নির্বাচনটি দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আসন থেকে ১৯৯১ সালের পর থেকে টানা জয়ী হয়ে আসছেন এরশাদ। রসিক নির্বাচন তাই দলের জন্যই সম্মান বজায় রাখার নির্বাচন।’

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আরও বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এ জন্য দলের চেয়ারম্যানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

এদিকে, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রসিক নির্বাচনি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান জাপার বিদ্রোহী প্রার্থী মকবুল শাহারিয়ার আসিফ। রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকারে কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। তবে কিছু ত্রুটি থাকায় মনোনয়নপত্র ফেরত নিয়ে যান। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলে জানান তিনি।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মকবুল শাহারিয়ার আসিফ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘দলের কেউ কেউ চায় না আমাদের পরিবারের সদস্যরা রংপুরের রাজনীতিতে আসুক এবং দলের হাল ধরুক। এবার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও এমপি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ফলে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।’ তিনি বলেন, ‘এর আগে, আমার বাবাকে একবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তাকে আর দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এটা আমাদের প্রতি অবিচার।’

এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনে এই প্রতীক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন আসিফ।

দলীয় প্রধান এরশাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে ফলাফল কি ভালো হবে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ বলেন, ‘আমরা ৩৬ বছর ধরে রংপুরের মানুষের সেবা করে আসছি। আমার বড় আব্বা এরশাদ, চাচা জিএম কাদের, চাচি রওশন এরশাদের কাছেও জনগণ এত সেবা পায়নি। ফলে নির্বাচনে আমাকেই বিপুল ভোটে জয়ী করবে ভোটাররা।’