শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক (ছবি- প্রতিনিধি)

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে সব ইউপি সদস্য একযোগে অনাস্থা জানিয়েছেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে তারা এ অনাস্থা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছেও দেওয়া হয়।

ইউপি সূত্রে জানা গেছে, জহুরুল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থের বিনিময়ে কিশোরীদের বয়স বাড়িয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে বাল্যবিয়েতে সহায়তা, ইউপির নারী সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, জন্ম-নিবন্ধনের সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় অর্থ আদায় এবং টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এলজিএসপি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির ১৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

কাংশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম মিস্টার বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ এনে পর পর দুইটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে একমত পোষণ করে এ অনাস্থা এনেছি।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।

ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারহানা করিম অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে এবং আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, তিনি এখনও অনাস্থা প্রস্তাব পাননি। পেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।