তিনি বলেন, ‘বাবা তোমরা আমার ছেলের জীবন বাঁচাও। আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সবার কাছে আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চাই।’
চোখের জল ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেয়র সাহেবের কাছে আইছি সাহায্যের লাইগা। এখন ভয়ে কারও কাছে সাহায্যের কথা বলার সাহস পাচ্ছি না। কারণ আমি গরিব অসহায় এক মা, সংসারে ভাই-বোন থেকেও নেই। যারা আছে তারাও গরিব। তারা কইত্তে সাহায্য করবো।’
সাহায্য চওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার ছেলে ইমনের কিছু দিন আগে নিউমোনিয়া হয়েছিল। নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে পানি এসেছে। আর ফুসফুসের পানিতে কিডনি আক্রান্ত হয়েছে।’
পেশায় দিনমজুর মনোয়ারা সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী।
মনোয়ারা জানান, ১০ দিন আগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন। হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে ফুসফুসের পানি থেকে কিডনি আক্রান্ত হয়েছে। এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাগবে চিকিৎসার জন্য।
মনোয়ারা মল্লিকপুরের ময়না মিয়ার বাড়িতে থাকেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখত জগলুল বলেন, ‘তিনি আসলে আমার সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করবো।’