ডিমলায় হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে রোগীরা

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সনীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দু’জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মণ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অনুপস্থিত থাকা ওই দুই চিকিৎসক হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইমরান হাসান ও একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,এই দুই চিকিৎসক কর্মস্থলে ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। যদিও তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের নিজ নিজ বাড়ির ঠিকানায় তিন দফায় চিঠিও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। তারপরও তাদের তরফ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী (কোড নম্বর ১২৬০১৬) ২০১২ সালের ২৪ জুন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নাউতারা ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এই কেন্দ্রে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই বছরের ৪ আগস্ট হতে অনুপস্থিত রয়েছেন। সেখানে তিনি মোট চল্লিশ দিন কর্মরত ছিলেন।

এদিকে, ডা. ইমরান হাসান (কোড নম্বর ১২৮৮৪৩) ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট। একবছর পর ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে ছুটি না নিয়িই লাপাত্তা হন তিনি। এখনও ডা. ইমরানের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে দুই চিকিৎসকের পারিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।

নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মণ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওই দুই চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি বিধি অনুযায়ী কর্মস্থলে যোগদানের জন্য তাদের বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দুই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত করা হয়েছে।